জেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওভারপাসের নিচে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৪০জন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী পৌরশহরের বাসাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সিলেট গোবিন্দগঞ্জের বিশ্বনাথ এলাকার আবুল মন্নাফের ছেলে নুরুল ইসলাম(৫০) ও হবিগঞ্জের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে নুর উদ্দিন(৪৫)।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ঢাকা থেকে ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস সিলেটের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। সিলেটগামী যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাসাইলের রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়া ওভারপাসে উঠলে সামনে থাকা একটি মালবাহী ট্রাককে ওভার টেক করতে গিয়ে অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি হলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওভারপাসের নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেনাসদস্য ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে পাশেই অবস্থিত নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরউদ্দিন নামে অপর এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এসময় আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, রাতে দূর্ঘটনাটি আমাদের হাসপাতালের পাশেই ঘটে। এসময় ৪২ জন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গুরুতর আহত ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৬:৪২ ৬৫ বার পঠিত