শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার বাসবভনের সামনে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানব বন্ধন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » প্রধান উপদেষ্টার বাসবভনের সামনে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানব বন্ধন
শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪



প্রধান উপদেষ্টার বাসবভনের সামনে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানব বন্ধন

ভর্তি পুনর্বহালের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসবভন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

অভিভাবকরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয় তাদের সন্তানেরা। তারা ৩ মাস ক্লাস করার পর জানতে পারেন বয়স সংক্রান্ত জটিলতায় ভর্তি বাতিল হয় ১৬৯ শিক্ষার্থীর। অথচ তারা স্কুলের নিয়ম কানুন মেনে ভর্তি হয়েছে, এমন কী বিভিন্ন পরীক্ষায়ও অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। নিয়ম মেনে বেতনও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের মাঝখানে স্কুলের এমন সিদ্ধান্তে ভর্তি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।

পরে অভিভাবকরা হাইকোর্টেও রিট করেন একই দাবিতে। হাইকোর্টেও বহাল থাকে ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের ভর্তি বাণিজ্য ও দুর্নীতির শিকার তাদের সন্তানেরা। দ্রুত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিভাবকরা।

জানা যায়, ভিকারুননিসায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (নিজেদের নির্ধারিত) অনুসরণ না করে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হয় ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন।

এ নিয়ে মোট ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি হলে তা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন অন্য দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক। স্কুল কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেয়ায় তারা গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে স্কুলটিতে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে এ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রীদের ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন। একের পর এক আদালতের সিদ্ধান্তের পর স্কুলটির প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে গত ২৬ মে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এ আবেদন করেন।

পরে গত ১৪ জুলাই ভর্তি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৩:৫৩   ৫২ বার পঠিত