সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি না হলে দখল নিয়ে এত উৎসাহ কেন: রাব্বি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি না হলে দখল নিয়ে এত উৎসাহ কেন: রাব্বি
সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪



পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি না হলে দখল নিয়ে এত উৎসাহ কেন: রাব্বি

নারায়ণগঞ্জে পরিবহন খাতে কোনো চাঁদাবাজি হয় না বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা। তারা বলেছেন, তারা কাউকে কোনো চাঁদা দেন না। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাস ভাড়া কমানোর প্রসঙ্গে বাস মালিক ও যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরমের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।

জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রওশন আলী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থির অবস্থায় আমরা অসহায় অবস্থায় আছি। যার দল যখন নেতৃত্বে আসে অনেক ক্ষেত্রে তখন তাদের অনুগত হতে হয়। বিশেষ করে, বিভিন্ন আয়োজনে গাড়ি দিতে হয়। শহরের অবৈধ ইজিবাইকের কারণে যাত্রী পাওয়া যায় না, গাড়ি খালি চলে। গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, স্টাফদের বেতন, রিপেয়ার, মেইনটেনেন্স করতে হয়। এছাড়া আমাদের টেক্স দিতে হয়, ইনস্যুরেন্স, লাইসেন্স, রুটপারমিট নিতে হয়। এত এত খরচের মধ্যে বাস ভাড়া কমানো সম্ভব না।

বন্ধন পরিবহন লিমিটেড থেকে শেখ সালা উদ্দিন বলেন, আমাদের পক্ষে এতসব খরচ বহনের পর তেমন কিছুই থাকে লসে চলতে হয়। যদি কেউ বলে এর থেকে কম ভাড়ায় বাস চালাতে পারবে তাহলে আমরা তাকে বাস দিয়ে দিবো আমাদের দিনে ৫০০ টাকা দিলেই হবে।

যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, এখানে যারা বসেছি চাঁদাবাজির বিষয়ে জানেন না এমন না। সকলেই জানেন। বাস মালিক বলছেন, তারা কাউকে চাঁদা দেন না। যদি এমনই হয় তাহলে দখল নিয়ে এত উৎসাহ কেন? এক সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আরেক দলের কিসের এত তৎপরতা? কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ৪৫ টাকা ভাড়া নিয়ে এই রুটে প্রতি সপ্তাহে লাভ হচ্ছে। এই রুটে সরকার কোনো ভর্তুকি দেয় না। এটা কোনো লস প্রজেক্ট না। আর বেসরকারি বাস ৫৫ টাকা নিয়েও লসে চলছে। সুতরাং চাঁদায় দেয়ার বিষয় চাপা দেয়ার দেয়ার কোনো কারণ নেই।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টা আমরা সবাই জানি। আপনারা যেটা বলছেন, সেটা হলে খুবই ভালো। আমি সকলের কথা শুনেছি। এভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। কমিটি সকলের সাথে আলোচনা করে, মাইলেজ পরিমাপ করে এবং সরকার নির্ধারিত রেট অনুযারি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি সুপারিশ করবে। সে সুপারিশ অনুযায়ী আবার মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিবো।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক), বিআরটিএ সহকারী পরিচালককে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সাগর, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের ধীমান সাহা জুয়েল, হাফিজুল ইসলাম, হিমাংশু সাহা, তরিকুল সুজন। বাস মালিকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্ধু পরিবহনের আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন প্রধান, নসিব পরিবহনের সৈয়দ আশরাফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৫:১৫   ৩১ বার পঠিত