জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমরা রাজপথে ছিলাম। আন্দোলন সংগ্রামে বাধা বিপত্তিকে পেরিয়ে আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি এবং আমরা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। আগে ঘরে বাইরে, চায়ের দোকানে আমরা কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি নাই। নিজের মত প্রকাশ করতে পারি নাই। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে, কষ্টের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন সময় আমাদের নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করে গড়ে তোলার।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) ফতুল্লায় চৌধুরী কমপ্লেক্সে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। ফতুল্লা থানা যুবদলের আয়োজনে বন্যায় নিহতদের, ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিলে রনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং অঙ্গসংগঠনের আমরা নেতাকর্মীরা কাজ করে আসছেন। মানুষের ভালোর জন্য কাজ করতে গিয়ে আমরা ত্যাগ স্বীকার করেছি। গুলি খেয়েছি, পঙ্গুত্ব বরণ করেছি। নিজের বাবা-মায়ের জানাযায় অংশ নিতে পারি নাই, বাসায় থাকতে পারি নাই। আমাদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আমাদের অভিভাবক, বাংলাদেশের অভিভাবক তারেক রহমানের আদর্শ বুকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রম চালিয়ে গেছি।
তিনি বলেন, এই চিকা শামীম, বোরকা শামীমকে কখনও ভয় পাই নাই। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের নেতেৃত্ব অনেকেই শোষণ করে গেছে। তারা নারায়ণগঞ্জকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। শিল্প কারখানাগুলো ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। শিল্প মালিকদের সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। আপনারা দেখবেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি লোকের বাড়ি ছাড়া কারও বাড়িতে হামলা করা হয় নাই। কারণ এ পাঠা (পাডা), এ চিকা এ বোরকা শামীমের বাড়ি ছিল নারায়ণগঞ্জের বাইরে। এই ছোটলোক নারায়ণগঞ্জের মানুষকে এমন ব্যবহার করেছে যে সবার এ লোকের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে পড়েছে। ব্যবাসায়ীদের ব্যবসা নষ্ট করেছে, চাঁদাবাজি করেছে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল। তাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা অস্ত্র প্রুশাসনকে জমা দিন। ৫ তারিখ সকাল ১০টা পর্যন্ত আপনারা কি কি অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন আমার দেখেছি। অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আমাদেরকে রাজপথ থেকে বিতারিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই অস্ত্র প্রশাসনের কাছে এখনও জমা দেওয়া হয় নাই। অস্ত্র উদ্ধারে যখন নামবো, প্রশাসনের ক্ষমতা ব্যবহার করে যখন আমার নামবো তখন অস্ত্র জমা কি আপনারা বাড়ি ঘরেও থাকতে পারবেন না। বিসিকে এমন কিছু লোক আছে যারা আওয়ামী লীগের সাথে চলাচল করতো। তারা আমার নাম ব্যবহার করে শিল্প কারখানায় গিয়ে বলে, মশিউর রহমান রনি মাল দিতে বলেছে। মলিকরা মনে করবে রনি লোকটা খারাপ, এ লোক শামীম ওসমান, অয়ন ওসমানের মতো খারাপ। আমি বিনয়ের সাথে বলবো, মশিউর রহমানের নামে যারা রাজনীতি করে তারা ৫ তারিখের পর থেকে ফতুল্লা থানা, জেল খানা, পুলিশ লাইন্স, ডিসি অফিস পাহাড়া দিচ্ছে। আমার কোন কর্মী কারখানায় গিয়ে মাল চাইছে, চাঁদা চাইছে এটা কেউ দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমার বিশ্বাস আমার কর্মীরা সমাজের কোন বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত না।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৬:০২ ১১৮ বার পঠিত