বরেণ্য নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের সহধর্মিণী, বাংলা নাটকের নিঃশব্দ পথচারী, গওহর আরা মামুন আর নেই। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ধানমন্ডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গওহর আরা মামুন বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১০ দিন আগে উনার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেও আরেকবার হার্ট এটাক হয়। এরপর চিকিৎসা প্রক্রিয়া চলছিল। মাঝে একটু ভালোর দিকে ছিলেন। পরে স্থানান্তর করে বাংলাদেশ মেডিকেলে আনা হয়। এখানেই শেশ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার নামাজে জানাজা বুধবার বাদ যোহর, ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা বাদে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের নাট্যগুরু মামুনুর রশীদের সহধর্মিনী গওহর আরা মামুন (টুলী ভাবি) আজ (মঙ্গলবার) পরলোক গমন করেছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। বৃহত্তর আরণ্যক পরিবারের সকল সদস্যের কাছে টুলী ভাবি ছিলেন মাতৃসম। শাসনে আর আদরে আরণ্যক পরিবারকে অতি আপন করে নিয়েছিলেন তিনি। আজ আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। ভাবি যেন পরপারে অপার শান্তি লাভ করেন। মাতৃসম টুলী ভাবির স্নেহের স্পর্শ যেন আরণ্যক পরিবারের সকলের জন্য চির আশীর্বাদ হয়ে থাকে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, টুলী ভাবি যেন বেহেস্তবাসী হন।’
গওহর আরা মামুনকে ভীষণ সংসারি মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে শাহনাজ খুশি বলেন, ‘তিনি ছিলেন ঠিক মামুন ভাইয়ের বিপরীত। মাতৃত্বের এক বাঁধানো ফ্রেম যেন। আরণ্যক থিয়েটারের ছোট-বড় সব সদস্য তার সে মাতৃত্বের শাসন এবং সোহাগ পেয়েছে। থিয়েটারের সদস্যদের নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে এক সময় ৪৭/১ এর ইন্দিরা রোডে ভাবির বাড়িতে। সব ভেঙে নতুন করে হয়ত গড়া যায়, শুধু স্মৃতির পুনর্গঠন সম্ভব না। আপনি আরণ্যক তথা সকল থিয়েটারের সন্তানদের মনের কোনে বেঁচে থাকবেন।’
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৬:৪৫ ৪৫ বার পঠিত