বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছু চেয়ে নেয়ার উত্তম দোয়া

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছু চেয়ে নেয়ার উত্তম দোয়া
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪



আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছু চেয়ে নেয়ার উত্তম দোয়া

দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন।

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا كَذَا وَ كَذَا، يَا مُؤْنِسَ كُلِّ وَحِيْدٍ! وَيَا صَاحِبَ كُلِّ فَرِيْدٍ! وَيَا قَرِيْبًا غَيْرَ بَعِيْدٍ! وَيَا شَاهِدًا غَيْرَ غَآئِبٍ! وَيَا غَالِبًا غَيْرَ مَغْلُوْبٍ! يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ! يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! يَا نُوْرَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! وَيَا زَيْنَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا جَبَّارَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا عِمَادَ السَّمٰوٰتِ وَ الْأَرْضِ! يَا بَدِيْعَ السَّمٰوٰتِ وَ الْأَرْضِ، يَا قَيَّامَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ! يَا ذَاالْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ! يَا صَرِيْخَ الْمُسْتَصْرِخِيْنَ! وَمُنْتَهَى الْعَآئِذِيْنَ! وَالْمُفَرِّجُ عَنِ الْمَكْرُوْبِيْنَ! وَالْمُرَوِّحُ عَنِ الْمَغْمُوْمِيْنَ! وَمُجِيْبَ دُعَآءِ الْمُضْطَرِّيْنَ! وَيَا كَاشِفَ الْمَكْرُوْبِ! يَاۤ إِلٰهَ الْعَالَمِيْنَ، وَيَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ! مَنْزُوْلٌ بِۢكَ كُلُّ حَاجَةٍ.

উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফি দুনিয়াঁ কাজা ও কাজা, ইয়া মুঊনিসা কুল্লু ওহিদিন! ওয়া ইয়া সাহিবা কুল্লি ফরিদিন! ওয়া ইয়া কারিবান গায়রে বায়িদিন! ওয়া ইয়া শাহিদান গায়র গায়িবিন! ওয়া ইয়া গালিবান গায়রা মাগলুবিন! ইয়া হাইয়ু ইয়া কায়্যূম! ইয়া যাল জালাল ওয়াল ইকরাম! ইয়া নূরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ওয়া ইয়া জাইনাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ইয়া জাব্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া ইমাদাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া বাদিয়াস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া কায়্যামাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ! ইয়া যাল জালাল ওয়াল ইকরাম! ইয়া সরীখাল মুস্তাসরেখীন! ওয়া মুনতাহাল আইঈদিন! ওয়া মুফার্রিজু আনিল মাকরূবীন! ওয়া মুরওয়িহু আনil মাঘমূমীন! ওয়া মুজীবাদ দুআয়াল মুদ্তারিন! ওয়া ইয়া কাশিফাল মাকরূব! ইয়া ইলাহাল আলামীন, ওয়া ইয়া আরহমার রাহিমীন! মানজূলুন বিক কুল্লু হাজাহ।

অর্থ: হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে দুনিয়াতে অমুক অমুক বিষয় দান করুন। ((কাজা কাজা) এ বিষয় স্থলে দোয়া পাঠকারী যেকোনো জায়েজ দুনিয়াবী মাকসাদ চিন্তা করবে।) হে প্রত্যেক নির্জনের স্বজন; প্রত্যেক নিঃসঙ্গের সঙ্গী! হে নিকটবর্তী, যে দূরে নয়, হে উপস্থিত, যে অনুপস্থিত নয়! হে বিজয়ী, যে পরাজিত নয়! হে চিরজীবী, হে রক্ষাকর্তা, হে মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের মালিক! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির জ্যোতি! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির শোভা! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির প্রতাপান্বিত প্রভু! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমি ধারণকারী! হে আকাশমণ্ডলী ও জমির অস্তিত্বদানকারী! হে আকাশমণ্ডলী ও ভূমির অস্তিত্ব রক্ষাকারী! হে মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের অধিকারী! হে ফরিয়াদীদের ফরিয়াদস্থল! শরণার্থীর শেষ আশ্রয়, অস্থিরজনের শান্তিদাতা! চিন্তাগ্রস্তের প্রশান্তিদাতা ও অপারগের প্রার্থনা মঞ্জুরকারী! হে দুর্দশাগ্রস্তের দুর্দশা দূরকারী! হে সর্বজগতের মাবুদ! হে সকল দয়ালুর বড় দয়ালু! আপনারই সমীপে সকল প্রয়োজন। (আপনিই তো ছোট-বড় সকল প্রয়োজন পূরণকারী)।

উপকারিতা: এখানে দোয়া পাঠকারী অমুক-অমুক বিষয় স্থলে কোনো জায়েয মনোবাঞ্ছা চিন্তা করবে। যেমন- সুস্থতা, নিরাপত্তা, উম্মতের সফলতা, দুশমন থেকে মুক্তি, আয়-উপার্জন বৃদ্ধি ইত্যাদি। যেকোনো জায়েয দুনিয়াবী মাকসাদ চিন্তা করবে। সকল মাখলুকের বিপরীতে, যারা অতি নিকটে থেকেও দূরে, সঙ্গে থেকেও অনুপস্থিত এবং পূর্ণ বিজয়ী হওয়া সত্ত্বেও পরাজিত। এখন না হলে ভবিষ্যতে, বাস্তবে না হলে সম্ভাবনায় তো বটেই। দোয়া এই সকল সম্বোধন উল্লেখ করে বান্দা জানিয়ে দিল যে, আল্লাহ ছাড়া না কেউ জীবিত ও স্থায়ী, না কেউ ফরিয়াদ শ্রবণকারী। না কেউ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দানকারী, না প্রশস্ততা আনয়নকারী। না কেউ প্রার্থনা শ্রবণকারী, না মঞ্জুরকারী।

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,

তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)

হাদিসে এসেছে-হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন।

অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)

রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)

হজরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)

বাংলাদেশ সময়: ১৩:১১:৪১   ১২ বার পঠিত