জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষে মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সীমান্তবর্তী কাজিপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের ছালাল চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো- মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আকাশ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, রাসেল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সাব্বির ও শাহীন আলম। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ একই এলাকার জয়নাল খন্দকারের ছেলে সামছুল খন্দকার ও মৃত আঃ রহিম মুন্সির ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক এর সাথে প্রায় ৫ একর ৪২ শতাংশ ফসলি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার দুপুরে ওই জমিতে রফিকুল ইসলামের লোকজন হাল দিতে গেলে সামছুল হক খন্দকারের লোকজন বাধা দেয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি একপর্যায় মারপিটের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সামছুল হক খন্দকার বলেন, এই জমি আমাদের। জমির (সিএস, আরওআর ও বিআরএস) সকল রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত শালিস বৈঠকে মাতাব্বরগণ দলিলাদি দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবুও তারা জমি ছাড়তে রাজি নয়। পরে আমরা কোর্টে সাতধারা মামলা করি। পরে তারা কোর্টে গিয়ে জমিতে আর আসবে না এবং মারামারি করবেনা এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে আসেন। এর দুইদিন পর তারা আবারও জমিতে হালচাষ দিতে যায়। এতে বাধা দিলে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলাভাবে করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই জমি আমাদের এবং আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ করে তারা জমির মালিকানা দাবি করছে। কয়েক দিন আগে জমিতে তারা জোরপূর্বক কলাই বুনেছে। আজ সেই জমিতে হাল বাইতে গেলে তারা বাধা দেয়। পরে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান,এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:০৪ ১৯৩ বার পঠিত