সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

সরিষাবাড়ীতে সাঁতার প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী মাঝপথে গিয়ে অজ্ঞান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরিষাবাড়ীতে সাঁতার প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী মাঝপথে গিয়ে অজ্ঞান
সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪



সরিষাবাড়ীতে সাঁতার প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী মাঝপথে গিয়ে অজ্ঞান

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাঁতারের পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই অংশ নেয়ায় শিখা নামে এক শিক্ষার্থী সাঁতারের মাঝপথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে চলতি বছরে ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় সরিষাবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে দুটি ভ্যানুতে খেলা এ খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার(৭ অক্টোবর) সকালে ভ্যানু রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় পুকুরে ১০০ মিটার সাঁতার খেলার আয়োজন করে খেলার সংশ্লিষ্টরা । উক্ত খেলায় সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিখা খাতুন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই সাঁতারের অংশ নেয়। পরে সে সাঁতারের মাঝপথে গিয়ে জ্ঞান হারায়। এসময় ডুবে যাওয়ার প্রাক্কালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ইদুন্নেসা বলেন ,প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন খেলায় অংশ নেওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে সাঁতার খেলাটি জীবন মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত। আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাঁতার শিখানোর কোন প্রশিক্ষক বা ব্যবস্থাপনা নেই। শিখা মেয়েটি সাঁতারের অংশ নিয়ে মাঝপথে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মেয়েটির খোঁজখবর নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আজ রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় সাঁতার খেলার আয়োজন করা হয়। এ খেলায় সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর একজন প্রতিযোগী সাঁতারের মাঝপথে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তবে প্রতিটি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচিত প্রত্যেকটি প্রতিযোগীকে খেলা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া। তা না হলে যেকোনো সময় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা খেলা শুরু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় সবাইকে অবগত করেছি। প্রতিযোগীদের প্রস্তুত করে তোলার। তারা কতটুকু করেছেন জানি না। তবে আজকের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত অপ্রত্যাশিত। মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। আমরা খোঁজ খবর রাখছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এ বিষয়ে বলেন, জাতীয়ভাবে আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছে। ওই আলোকেই তিনটি খেলা কাবাডি, দাবা ও সাঁতারের আয়োজন করা হয়েছে। এটা আমাদের উপজেলা পর্যায়ের সিদ্ধান্ত না। এটা জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত, বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫১:১৯   ১৬৮ বার পঠিত