ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে থেকেই তিনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন। এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনেও। তবে
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গত সপ্তাহে (স্টেট ডিপার্টমেন্টের) এই ভবনে এসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এখন ভারতে এবং সেখানে থেকেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন,
ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক চলাকালে আঞ্চলিক ইস্যুতে কথা বলার সময় প্রায়ই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু আমার কাছে নেই।
এর আগে ওই সাংবাদিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানতে চান।
তিনি বলেন, গণহত্যা ও নৃশংসতা ঘটিয়ে স্বৈরশাসক হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীর মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে সে বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ জানাবেন কী?
এই প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন,
আমরা এই সব ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এসব বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য আমরা উন্মুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫২:৪৫ ৪২ বার পঠিত