দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক জোরপূর্বক বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ান দেশসমূহের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান।
এ সময় তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ও চলমান বন্যা, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বিষয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক-ই-আজম জানান, বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য কম পানিতে চলাচলে সক্ষম স্পিড বোট সংগ্রহের চেষ্টা করছে। বন্যায় অনেক গ্রামীণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামীণ জনপদে হেরিং বোন বন্ড রাস্তার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে আরও বেশি জাপানী সম্পৃক্ততার প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একটি জটিল সমস্যা। আর প্রত্যাবাসনই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান। দেশের পরিস্থিতির কারণে আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা জনগোষ্টির ওপর নজর শিথিল হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক ভাল। সামনের দিনগুলিতে এ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের বলপূর্বক ব্যস্তুচ্যুত নাগরিকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য জাপানী রাষ্ট্রদুত বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের মানবিক অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আরও বেশি জীবিকায়ন, কর্মসংস্থানসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাসের বিষয়ে আলোচনা করেন।
কিমিনরি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কিভাবে এখানে আরও বেশি সাহায্য নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে জানতে চান এবং বন্যার পুনর্বাসন পরিকল্পনা সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন তিনি।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত হন।
তিনি দুর্যোগে আশ্রয় গ্রহণ কার্যক্রম, প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্যোগ পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন অগ্রাধিকার বিষয়াবলী নিয়েও আলোচনা করেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৮:৪১ ৩৭ বার পঠিত