পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেছেন, হিন্দু বোদ্ধ খ্রিশ্টান মিলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ। সেই সম্প্রীতির বাংলাদেশের একটি প্রমাণ পূজা উৎযাপন। সারা দেশে ৩২ হাজারের বেশি পূজা মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দের সাথে পূজা উৎযাপিত হচ্ছে। যার যে ধর্ম, যার যে ধর্মমত সে অনুযায়ী উৎসব পালন করা, তাদের ধর্মের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা বাংলাদেশ পুলিশসহ সকল ধর্মমতের মানুষ নিশ্চিত করছি, সকলে নিজের স্ব স্ব ধর্ম পালন করতে পারেন। পূজা নিয়ে কোন অপতৎপরতা, কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা আমরা সহ্য করবো না, আমরা করছিও না। ইতিমধ্যে গুটিকয়েক ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামি গ্রেপ্তার, মামলা রজু, জিডিকরণসহ সকল আইনী ব্যবস্থা দ্রুততার সাথে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। এসময় পূজা-মন্ডপ আয়োজকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে আইজিপি শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়ার মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, সকলকে আবার আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ান, উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সহ সকল বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে, যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হতে পারে। যারা অপতৎপরতা চালাতে চায়, তারা দেখতে চায় আমাদের কোথাও গ্যাপ আছে কিনা। সেই জন্য আমরা সজাগ আছি। আপনারাও সজাগ থাকবেন। আমাদের তাৎক্ষনিক ব্যবস্থার চ্যানেল আছে ৯৯৯, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, রেঞ্জ পুলিশের কন্ট্রোল রুম থানা ও জেলা পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের এন্টি এমসি তৎপর আছেন। আশা করছি কোথাও কিছু ঘটবে না। যদি কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, এ নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদারসহ অনেকে অপতৎপরতা চালিয়েছে। আমরা এ গড়ফাদারদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা সন্ত্রাসী কার্যকালাপ করবে, যারা সন্ত্রাসকে লালন পালন করবে, চাঁদাবাজি, টেন্ড্রবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হবে তারা যেন এ পথে পা না বাড়ায়। সে সন্ত্রাসী কি আছে এখানে, কেউ নাই। বাংলাদেশের লোমহর্ষক একটি হত্যাকান্ড, নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার তদন্ত দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রাখার চেষ্টা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম এগোতে দেয় নি। আমরা সেই তদন্ত শুরু করেছি। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত আবার শুরু হয়েছে। আমরা চাই ঘটনা যদি ঘটে সেটাকে প্রতিহত করা। ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রতু তদন্ত করতে পারি। যারা জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে পারি। পুরোনো মামালার তদন্তও শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বিপ্লব এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর যেমন উপকারিতা আছে। তেমনি সাইবার জগতে অনেকে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন গুজব, ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছে। এব্যাপারেও আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। রিয়াল ওয়ার্ল্ড ও সাইবার ওয়ার্ল্ড যেখানেই ঘটনা ঘটছে, সব জায়গায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২২:০০ ৭৩ বার পঠিত