র্যাব বলছে মানিক মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি। কিন্তু পুলিশ আদালতে চালান দিয়েছে আন্দোলনে ভাঙচুরের মামলায়। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ভাঙচুরের মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় মানিক মিয়াকে। এর আগে র্যাব মানিক মিয়াকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কলেজ শিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন (সাগর) হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে মানিক মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করে র্যাব-১৪। রোববার রাতে কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানানো হয়। মানিক মিয়া সদরের মধ্য বাড়েড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. নাজমুল ইসলাম জানান, গত জুলাই-আগস্ট সারা দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করেন মো. মানিক মিয়া (২৮)।
আরও জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণ এবং অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে আন্দোলন প্রতিরোধে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাপ্ত স্থিরচিত্র থেকে শনাক্তকৃত অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারী আসামি মো. মানিক মিয়াকে আইনের আওতায় আনা হয়।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রেফতার হওয়া মো. মানিক মিয়া ছাত্র আন্দোলনে নিহত চাঞ্চল্যকর সাগর হত্যা মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি। আসামিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।
তবে র্যাবের কাছ থেকে পাওয়া আসামি সম্পর্কে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান জানান, আন্দোলন চলাকালে ভাঙচুরের মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির বাদী ছিল পুলিশ।
কিন্তু র্যাব মানিক মিয়াকে কলেজছাত্র রেদোয়ান হোসেন হত্যার সন্দেহভাজন আসামি বলার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, তারা দিয়েছে, ‘আমরা যাচাই বাছাই করেছি। আমরা তো আইনপ্রয়োগ করার দায়িত্বে। সাগর হত্যা মামলায় সে (মানিক) এজাহার নামীয় আসামি নয়। আমরা আলোচনা করে তাকে ওই মামলায় (ভাঙচুরের) চালান দিয়েছি।’
কলেজছাত্র রেদোয়ান হোসেন (সাগর) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত করছে জেলা পুলিশের গোয়োন্দা শাখা (ডিবি)। জেলা ডিবির ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাগর হত্যা মামলায় সোমবার কোনো আসামি আদালতে চালান দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:৫৪ ৬৮ বার পঠিত