পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবী রক্ষা করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে ‘ইয়ুথ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক এক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও বাংলাদেশে অবস্থিত কমনওয়েলথ মিশনগুলো যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের যুব সমাজ জলবায়ু কর্মে অগ্রগামী। তাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও আগ্রহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমনওয়েলথের মতো প্ল্যাটফর্ম তরুণদের আরও শক্তিশালী করতে পারে, যাতে তারা টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
বাংলাদেশ জলবায়ু ন্যায়বিচার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে কম দায়ী হলেও এর বিরূপ প্রভাব ভোগ করছে। উন্নত দেশগুলো থেকে আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশা করলেও যথেষ্ট সহযোগিতা মেলেনি। তিনি উপকূলীয় জেলা ও ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো রক্ষায় কতটুকু অর্থ প্রয়োজন তা জানতে চান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যুব কর্মসূচি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্যোগের মাধ্যমে সহযোগিতা করবে অস্ট্রেলিয়া।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, জলবায়ু কর্মী, তরুণ প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় কমনওয়েলথ দেশগুলো কীভাবে যুব নেতৃত্বে জলবায়ু উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা বাড়াতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৯:২৮ ৩৫ বার পঠিত