নারী-পুরুষের বৈধ ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম বিয়ে। এটি সব নবীর আদর্শ। শুধু ইয়াহইয়া (আ.) বিয়ে করেননি। বিয়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনে নেমে আসে রহমত ও বরকত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়েকে ঈমানের পূর্ণতা বলেছেন।
মহান আল্লাহ বিয়েকে মানবজাতির প্রতি অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে বলেন,
আর তার নিদর্শনাবলির মধ্য থেকে এটি একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীকে, যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি লাভ করতে পার এবং তোমাদের (স্বামী-স্ত্রীর) পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে, সেসব লোকের জন্য, যারা চিন্তাভাবনা করে। (সুরা রুম, আয়াত: ২১)
এমন পাত্র-পাত্রী পছন্দ করতে হবে যারা উভয়ে উভয়ের আখেরাতের সহযোগী হবে। তাই মুমিন দম্পতি দুনিয়ার ক্ষেত্রে যেমন একে অপরের সহযোগী ও কল্যাণকামী তেমনি আখেরাতের ক্ষেত্রেও। এটাই মুমিন দম্পতির জীবনের স্বাভাবিক ধারা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় সাহাবি হজরত মুআয (রা.) কে বলেন,
يَا مُعَاذُ قَلْبًا شَاكِرًا، وَلِسَانًا ذَاكِرًا، وَزَوْجَةً صَالِحَةً تُعِينُكَ عَلَى أَمْرِ دُنْيَاكَ وَدِينِكَ خَيْرُ مَا اكْتَسَبَهُ النّاسُ
হে মুয়াজ! মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন হলো, শোকরকারী অন্তর, জিকিরকারী জিব, সালিহা (দ্বীনদার) স্ত্রী, যে তাকে দুনিয়া ও দ্বীনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৭৪৩৮)
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৭:০৮ ৬৮ বার পঠিত