সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

দেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরে পেতে ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে : আমীর খসরু

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » দেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরে পেতে ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে : আমীর খসরু
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪



দেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরে পেতে ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে : আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরে পাবার জন্য ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে। বিএনপিকে ভাঙার সব ধরনের চেষ্টা হয়েছে। কিছু বাকি নেই, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা সব হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার চেষ্টার মধ্যেও তিনি টলেননি, তারেক রহমান টলেননি, বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ টলেনি। সবার অবস্থান শক্ত।

তিনি বলেন, বিএনপিকে জোর করে ক্ষমতার বাইরে রাখার তাদের যে ভাবনা ছিল, ওয়ান-ইলেভেনের বিরাজনীতিকরণ, আবার নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, ক্ষমতার স্বাদ তো কেউ কেউ পেয়েছেন, মনে করছেন এ ক্ষমতা ধরে রাখলে মন্দ কী ! কিন্তু এ স্বাদ পাবার কোনো সুযোগ নেই।

আজ বিকেলে চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী ও ডক্টরস আ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(এ্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দেয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম নির্বাচন। দলটিকে যদি রাজনৈতিকভাবে বাদ বা নিষিদ্ধ করতে হয়, সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে বাতিল করা সবচেয়ে সহজ। সেই বাতিল হবে স্থায়ী বাতিল, অন্যভাবে বাতিল কিন্তু কাজ করে না। অন্য ধরনের বাতিলে গেলে সে বাতিল সাময়িক কাজ করবে দীর্ঘমেয়াদি হবে না। আওয়ামী লীগকে জনগণ যখন বাতিল করবে সেটিই হচ্ছে আসল বাতিল। আমাদের ওই দিকে যেতে হবে।

প্রধান বক্তা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট একটি অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা আমাদের মাঝে আছে, সমাজে আছে। এ দোসরদের যদি আমরা চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে যে মূল্যবোধ আবু সাইদ, মুগ্ধ, ইলিয়াছ আলী, চৌধুরী আলম, কোনো কিছুই আদায় হবে না। যদি দোসরদের আইনের কাঠগড়ায় না আনতে পারেন। তাদের ক্ষমতার যে দম্ভ, মানুষের লুণ্ঠণকৃত টাকা,বেআইনি অস্ত্র, সেগুলো যদি উদ্ধার এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে না পারে তাহলে সকল শহীদের রক্ত বৃথা যেতে বাধ্য।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দীন, সিএমইউজে সভাপতি সাংবাদিক মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, ড্যাব মহানগর সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি এম এ সাফা চৌধুরী ও ব্যাংকার মেহরাব হোসেন খান।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৫:২০   ৩২ বার পঠিত