নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেছেন, একটি দেশ গঠন করার জন্য শ্রমিকরাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাদের পরিশ্রমে, রক্তের বিনিময়ে একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। তাদের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়। পনের বছর ধরে এই শ্রমিক জনতা স্বৈরাচারী-ফ্যাস্টিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। অনেক শ্রমিক ভাই রক্ত দিয়েছে। অনেক শ্রমিক নেতা মামলা খেয়ে জেলে থেকেছেন। অনেক শ্রমিকরা পনেরটি বছর ধরে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতেহ পারেন নাই।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) চাষাড়া শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য র্যালির পূর্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আসলাম হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সাখাওয়াত বলেন, যাদের বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্টতা ছিল, তাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত করা হয়েছে। আজকে সেই অবস্থা নাই। ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দুই হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। এখন সময় এসেছে শ্রমিক, ছাত্র, দেশপ্রেমিকদের যাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই দেশকে গড়ে তুলতে হবে। এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র গড়তে হবে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তবর্তীকালিন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারের সকল বৈধ কার্যক্রমের সাথে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। কিন্তু এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার রক্ত হাতে নিয়ে আজকে অনেক আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্রলীগ, সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে ঘুরে বেরাচ্ছে। যদিও শেখ হাসিনা ও তার কিছু নেতা পালিয়েছে। কিন্তু তাদের নেতাকর্মীরা দেশে অস্থিতীশীল করার চেষ্টা করছে। এই নারায়ণগঞ্জকে যারা অস্তিতিশীল করতে চায়। সেই বোরকা পড়া শামীম ওসমান প্রত্যেকটি সেক্টরকে নিজের কুক্ষিগত করে রেখে এই নারায়ণগঞ্জকে লুটে খেয়েছে।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে স্থপতি দাবি করলেও, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিব আর্মিদের হাতে আত্মসমর্পণ করেছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। অথচ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন মেজর হয়ে কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ চলছিল, বিশ্বের দরবার তা তিনি প্রকাশ করেন। যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েই জিয়াউর রহমান বসে থাকেন নি। প্রতক্ষ্যভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে উনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাথে যারা আছেন, যারা শ্রমিক ভাই তাদের সকলকে বলতে চাই, কোথাও থেকে একটি টাকা মহানগর বিএনপি চাঁদা নেয় নাই। কারও দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমরা বন্ধ করি না। আমরা কাউকে হুমকি দেই না। এই সকল কাজ যারা করে, শ্রমিক দলের কাজ হলো এই লোকদের প্রতিহত করা। বিএনপির নামে কেউ যদি এই ধরণের কাজ করে, তবে তাদেরকে বেঁধে রেখে আমাদেরকে খবর দিবেন। আমরা তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেব। আমরা চাই নারায়ণগঞ্জের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করুক। বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসে নাই। যারা দলের নাম খারাপ করার চেষ্টা করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। কোন সন্ত্রাস, সন্ত্রাসী, লুটেরা, চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় দেব না।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:০৫ ১১ বার পঠিত