মোংলায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার তন্ময় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ সময় নিহতের কলেজ পড়ুয়াকে মেয়েকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের মাকড়ঢোন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তন্ময়কে আটকের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
অভিযুক্ত তন্ময় মাকড়ঢোনের কালিপদ মণ্ডল ওরফে কালুর ছেলে। তন্ময় পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের মেছের শাহ সড়কের বাসিন্দা সুনীল মল্লিকের বাড়িতে যান একই এলাকার মাইকেল মধুসূদন সড়কের বাসিন্দা তন্ময় মণ্ডল (৩৫)। তন্ময় ওই বাড়িতে ঢুকে বাড়ির মালিক সুনীলকে খুঁজতে থাকেন বলে দাবি পরিবারের। পরে সুনীলের স্ত্রী জানায় যে, সুনীল বাড়িতে নেই। সুনীল মল্লিক বাড়িতে না থাকায় ফিরে আসার সময় সুনীল মল্লিকের স্ত্রী সবিতা মল্লিককে লাইট দিয়ে রাস্তায় এগিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানালে তিনি তাকে এগিয়ে দিতে যান। এগিয়ে দিতে বাড়ির পুকুর পাড় পর্যন্ত গেলেই তন্ময় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে পাশের ডোবায় ফেলে দেন বলে দাবি পরিবারের।
এরপর সেখান থেকে তন্ময় মণ্ডল আবারও ফিরে সুনীলের বাড়িতে গিয়ে তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হ্যাপি মল্লিককেও (২৫) মারধর করতে থাকেন এবং তাকেও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন তন্ময় বলে জানায় মেয়র হ্যাপি মল্লিক। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতে থাকলে তন্ময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা ও আহত হ্যাপি তার মাকে খুঁজতে গিয়ে ডোবায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় প্রতিবেশীদের সহায়তায় তিনি তার মাকে (সবিতা) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মৌসুমি ইয়াছমিন বলেন, ‘আঘাতে রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। অন্যথায় পানিতে ফেলা দেয়ায় ডুবে ঘটনাস্থলে কিংবা পথে তার মৃত্যু হয়েছে।’
তবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়রা ও পুলিশ সুনিশ্চিত কোন তথ্য জানাতে পারেনি।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘এটা নিশ্চিত একটি হত্যাকাণ্ড। ঘাতককে গ্রেফতারে আমরা মাঠে রয়েছি। তবে প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য বের করা যায়নি। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা গেলে মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৭:০৮ ১৩ বার পঠিত