মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

‘অব্যবহৃত জমিতে ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘অব্যবহৃত জমিতে ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব’
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪



‘অব্যবহৃত জমিতে ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব’

দেশে অব্যবহৃত সরকারি জমিতে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এতে জীবাশ্ম জ্বালানির (কয়লা, গ্যাস, তেল) ব্যবহার কমানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) আয়োজিত ‘রিনিওএবল এনার্জি, ডিকার্বোনাইজেশন, অ্যান্ড এনার্জি ট্রান্সমিশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে শিগগির ৪০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে।

স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জ্বালানি রূপান্তরে অংশ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আসিম টোস্টার, সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসআরইডিএ) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই খন্দকার।

জার্মান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আসিম টোস্টার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির খাতে বিনিয়োগের সুযোগের উপর গুরুত্ব দেন।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, জার্মান বাংলাদেশকে কম কার্বন নির্গমন ভবিষ্যতের দিকে যেতে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং বিনিয়োগে সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানোর এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের (বিপিএমআই) রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

ড. ইজাজ হোসেন ডিকার্বোনাইজেশন, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষণ এবং বিশুদ্ধ উৎসে রূপান্তরের ওপর আলোচনা করেন।

মোহাম্মদ আলাউদ্দিন তার বক্তব্যে এগ্রিভোল্টাইক্সের ওপর তার মতামত তুলে ধরেন, যা সৌর শক্তি উৎপাদন এবং কৃষি কার্যক্রমের সাথে সংমিশ্রণ করে ভূমির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি শক্তি উৎপাদনে অবদান রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৪:০৪   ১১ বার পঠিত