ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণসভায় এই দাবি জানান আহত ও নিহতদের পরিবার।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই স্মরণসভায় জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ শেখ হাসিনা সরকারের দোসরদের গুলি, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে হতাহতের বর্ণনা দেন আহত শিক্ষার্থী ও নিহতদের অবিভাবকরা। বাবা-মা কাঁদতে কাঁদতে সন্তানদের নিহত হওয়ার কথা বলেন। নির্মম ঘটনার বর্ণনা দেয়ায় সভার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
আহতরা চিকিৎসাসহ কর্মসংস্থানের দাবি জানান। একই ভাবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও ক্ষতিপূরণসহ কর্মসংস্থানের দাবি জানানো হয়। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলন এখনও শেষ হয়ে যায়নি।’ দেশে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম ১৯৭১ ও জুলাই’ ২৪ এ যারা জীবন দিয়েছেন তাদের বীর উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের এ রক্ত বৃথা যেতে দেব না। ১৯৫২, ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪ এ যারা রক্ত দিয়েছেন, তাদের ঋণ পরিশোধে কাজ করে যাবো আমরা।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন সেক্টর পরিচালনা করে থাকেন। পুলিশও তারই মধ্যে পড়ে। যে পুলিশকে পরিচালনা করা হয়েছে দানব হিসেবে, তারা কি ভালো কিছু করতে পারে।’
যুদ্ধ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্রামের সময় নেই। আমরা মানুষের জন্য কাজ করবো।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সেনাক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক, বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা জামাতের আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, ছাত্র বৈষম্যের নেতা ইমরান হোসেন, নাজমুল হোসেন রনিসহ আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
স্মরণসভায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে ৮৯ জন হতাহতের পরিবারকে ডাকা হয়েছিল। আলোচনা শেষে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৯:৫০ ১৩ বার পঠিত