আজ কক্সবাজারস্হ সায়মন বিচ রিসোর্টে জেলা পর্যায়ে বহুখাতভিত্তিক পুষ্টিসেবা বাস্তবায়নের সুযোগ, অভিজ্ঞতা ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় বাধা শিল্পকারখনার দূষণ। নদী-সমুদ্রেও দূষণ হচ্ছে। মাছের মধ্যেও মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে এখন জিঙ্কসমৃদ্ধ চালের কথা বলছেন। জিঙ্ক ঘাটতি আছে কি না তা না দেখে এই চাল খাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। গোল্ডেন রাইসের বিরোধীতা করছি। আমাদের জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে অনেক খাবার আছে। সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। পুষ্টি সচেতনতার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, পুষ্টি মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে এক সুরে কাজ করতে হবে। সব দপ্তর ও সংস্থাকে একীভূত করে পুষ্টি সুরক্ষায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। মৎস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় জোগানদাতা হিসেবে আছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক দিয়ে ক্ষতি করছি। দেশীয় মাছকে গুরুত্ব না দিয়ে চাষের মাছকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফিড নিরাপদ না মাছ নিরাপদ তা নিয়েও মাঝে মাঝে দ্বিধায় পড়তে হয়। গরুকে ঘাস খাওয়ানোর কথা, অথচ গরুকে অন্য কিছু খাওয়ানো হচ্ছে। আমরা দেশীয় মাছ বাড়ানোর দিকে বেশি জোর দিচ্ছি। একেক এলাকায় একেক রকম প্রাণিসম্পদ আছে, সবগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে মেয়েদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, দেশের গর্ভবতী নারীদের প্রায় অর্ধেক রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। নারীর অধিকারহীনতা ও নারীর অপুষ্টি একসুতায় গাঁথা। আগামী প্রজন্মের স্বার্থে নারী-পুরুষ দু’জনকেই সচেতন করতে হবে। তবে নারীরাই মুখ্য। নারী ক্ষমতায়ন হলে নারী রুখে দাঁড়াতে পারবে।
সমকালের অনলাইন ইনচার্জ গৌতম মণ্ডলের সঞ্চালনায় এবং নিউট্রেশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়কা সিরাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনএনসি মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১১:২৯ ১২ বার পঠিত