পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে নতুন জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান-এ (এনডিসি) ভূমি, বন ও জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এনডিসির লক্ষ্য অর্জনে বন উজাড় ও ভূমির অবক্ষয়সহ নানা জটিল চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বাধাগুলো অতিক্রম করতে পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে এনডিসির (ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান) আলোকে কৃষি, বন ও অন্যান্য ভূমি থেকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সকল প্রতিরোধ উপেক্ষা করে বন উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ দেওয়া ৭০০ একর,বাফুফের জন্য বরাদ্দ ২০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া,সাবেক এক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ভাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ১৫৬ একর বনভূমির বরাদ্দ বাতিল করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন,জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যক্তি পর্যায়েও জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে হবে।
এএলআরডি এবং সমন্বয়ক, নিজেরা করি ও বাংলাদেশ লিড, স্ট্যান্ড ফর হার ল্যান্ড ক্যাম্পেইনের চেয়ারম্যান খুশী কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের ফেলো ড. দ্বিজেন মল্লিক।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. নাজিম উদ্দিন,সেন্টার ফর নলেজের গবেষক গাজী মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের লজিক প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম. আজাদ রহমান এবং বিসিএএসের সিনিয়র ফেলো খন্দকার মাঈনউদ্দীনসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫২:৩০ ১৭ বার পঠিত