ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার মত প্রযুক্তিগত দক্ষতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র রয়েছে উল্লেখ করে নিকোলা বিয়ার বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি সময়ে এসেছি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করি।’
সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, ‘আপনারা যা কিছু করতে চান, আমাদেরকে জানান’। ‘এটি প্রমাণ করা গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুধু কাজ করছে না, তারা কার্যকর ফলাফল আসে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে, তা দৃশ্যমান করা।’
বর্তমান সময়কে একটি উপযুক্ত সময় আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ইউনূস দুর্নীতি মোকাবিলা, জ্বালানি ক্ষেত্রে সবুজ রূপান্তর এবং সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ও এর আশপাশের অঞ্চল এবং নদী ব্যবস্থার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়নে ইআইবির সহায়তা চান।
চট্টগ্রাম বন্দরের সেবা কার্যক্রম আরও সহজ এবং উত্তরাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তিনি ইআইবির সহযোগিতাও চান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বৃহত্তম এই বন্দরের উন্নয়নের ফলে পূর্ব ভারত ও মিয়ানমার উপকৃত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সাইডলাইনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠকের সময় তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে বাংলাদেশের আরও বেশি ঝোঁকার বিষয়ে সম্ভাব্য সহায়তার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে অনেক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে, যাতে ‘স্থানীয় সরকার সত্যিকার অর্থে স্থানীয় ও কার্যকর সরকার হয়।’
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৫:১১ ২৫ বার পঠিত