২০০৯ সাল থেকে সামরিক বাহিনীতে সমস্ত বিতর্কিত বরখাস্ত এবং কোর্ট মার্শাল পর্যালোচনাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে অনায্যভাবে বরখাস্ত হওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি দেন তারা।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘকাল ধরে গুরুতর অবিচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে আসছেন। এই অবিচারের কারণে তাদের পেশাগত জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে এমন অবিচারের প্রতিকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে, আমরা একটি স্বাধীন সামরিক সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করছি, যা বিশেষভাবে নিম্নলিখিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে তারা বলেন,২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বহু সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যক্রমের শিকার হয়েছেন। অযৌক্তিকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, এবং আর্থিক বা সামাজিক হয়রানির শিকার করা হয়েছে। অন্যায্য পদোন্নতি ও বরখাস্ত হয়েছে, জোরপূর্বক গুম ও রাজনৈতিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। মিথ্যা মামলা ও শাস্তি পেয়েছেন এবং অন্যায্য পদোন্নতির জন্য অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাদের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পুরোনো সামরিক আইন ব্যবহৃত হচ্ছে যা আধুনিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদ সামরিক সদস্যদের ন্যায়বিচারের সুযোগকে সীমিত করেছে এবং সামরিক বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
প্রস্তাবিত ৫ দফা দাবিগুলো হলো:
১. সামরিক বিচার পর্যালোচনা: ২০০৯ সাল থেকে সমস্ত বিতর্কিত বরখাস্ত এবং কোর্ট মার্শাল পর্যালোচনা করা ।
২. পোস্ট ফ্যাক্ট পদোন্নতি: যারা অবিচারপূর্ণভাবে পদচ্যুত হয়েছেন, তাদের পদোন্নতিসহ সব ধরনের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা ।
৩. পুনর্বহাল: যাদের অবিচারে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করা।
৪. পুনর্বাসন: পুনর্বহালকৃত কর্মকর্তাদের সরকারি বা সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিয়োগ দেওয়া ।
৫. জবাবদিহিতা: অবিচারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ।
এছাড়াও সামরিক আইন সংস্কার, সংবিধান সংশোধন, স্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন সামরিক বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৮:০৪ ১২ বার পঠিত