শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

স্বাধীনতা পেয়ে অনেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছে : মির্জা আব্বাস

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » স্বাধীনতা পেয়ে অনেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছে : মির্জা আব্বাস
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫



স্বাধীনতা পেয়ে অনেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছে : মির্জা আব্বাস

স্বাধীনতা পেয়ে অনেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, কেউ, কেউ বলছে বিএনপি আবারও ১/১১ (ওয়ান-ইলেভেন) আনার পাঁয়তারা করছে। ১/১১-এর ভয়াবহ পরিণতির শিকার বিএনপির চেয়ে কেউ হয়নি।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে ১/১১ সরকারের নির্যাতন থেকে দলের এমন কোনো নেতাকর্মী রেহাই পায়নি। এভাবে কথা বললে দেশের গণতন্ত্রের চেহারা কেউ দেখতে পারবেন না। একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল’ তারা এখন সুযোগ পেলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, শিশুদের যখন নতুন দাঁত ওঠে তখন উল্টাপাল্টা কথা বলে। এখন কেউ কেউ এমনভাবে কথা বলছেন যেন বিএনপি আওয়ামী লীগের দোসর। বিএনপি ভারতের দোসর। যারা এগুলো বলছেন তারা নিজেরা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন।

তিনি আরও বলেন, আমার ১১ বছর জেল হয়েছে, আমার স্ত্রীর ১৬ বছর, আমার ছোট ভাইয়ের ৮ বছর সাজা হয়েছে। এমনি করে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নির্যাতন নিপীড়ন হয়েছে। আর আজ আমাদেরকে আওয়ামী লীগের সিল বানাতে চান। চক্রান্ত যাই করেন আমরা বুঝি। বিএনপি কিছু বললেই সমস্যা।

অনেকে বিদেশে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন বলে দাবি করে বিএনপি এই নেতা বলেন, এতে দেশের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। আপনাদের যে প্রজ্ঞা আছে তা দেশের কাজে লাগান।

আব্বাস আরও বলেন, অনেকে বলছেন, নতুন দল গঠিত হচ্ছে বিএনপি তা জেলাসী করছে। আমি বলবো, যারা এগুলো বলছেন তারা জাতির শত্রু। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল। যেকোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই স্বাগত জানায়। তবে, জনসমর্থন আদায় করতে হলে জনগণের পালস বুঝতে হবে। কেউ-কেউ বলছেন ৫ ই আগস্ট যারা এনেছেন সবকিছুর অধিকার তাদের। যারা ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছে, খুন হয়েছে গুম হয়েছে তাদের কি হবে? আমি নিজে ১৩ বার জেল খেটেছি। আমাদের কোন অবদান নেই! এগুলো বলে জাতির মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।

আরাফাত রহমান কোকোকে চৌকসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একদিকে মা (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, ভাইকে (তারেক রহমান) শারীরিকভাবে নিষ্ঠুরতম অত্যাচার করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তখন কোকোকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। শেষে লাশ হয়ে দেশে ফিরতে হয় তাকে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সহ:প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলীম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:৪১   ৯ বার পঠিত