চুয়াডাঙ্গায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। দুইদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের।
একদিকে মাঘের হাড় কাঁপানো শীত। তার ওপর শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তৃতীয় দিনের মতো ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে গোটা জনপদ। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। এতে অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট ভিজে গেছে।
সূর্যের দেখা না মেলায় শীতে কাতর হয়ে পড়েছে মানুষ। এর থেকে বাঁচতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে দিনমজুররা জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।
দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে সাবধানতার সাথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার সাথে বইছে উত্তরের শীতল বাতাস। হিমেল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে, দক্ষিণের সীমান্তবর্তী জেলার ৪ উপজেলার ১৩ লাখ মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আদ্রতা ৯৭ ভাগ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ৩ দিন ধরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জেলা। বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। আগামীকাল শনিবার কুয়াশা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, এবারের শীত মৌসুমে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে প্রচণ্ড কুয়াশা থেকে বীজ তলা রক্ষার জন্য বেড পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৯:২৩ ১৪ বার পঠিত