শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫



ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা

ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে মিরান খান (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে চোখ উপরে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পদ্মা নদীর চরে ডাঙ্গীগ্রামের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

মৃত মিরান খান আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সাদীপুর সেতুর পাশের জালাল খানের ছেলে। মিরান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি পদ্মার চরের বালু, মাছ ও ইন্টারনেট ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। মিরান বিবাহিত ছিলেন। তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মিরান ডাকাতি ও মাদক কারবারির সাথে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অস্ত্র নিয়ে ওই গুচ্ছগ্রামে ডাকাতি করতে এসে গণপিটুনিতে ইরানের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এয়ারগান ও একটি ছ্যানদা উদ্ধার দেখিয়েছে এলাকাবাসী।

মিরানের ছোট ভাই ইরান খান বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত তিন মাস আগে মাছ ধরা নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তি তন্ময়ের সাথে আমার ভাইয়ের দ্বন্দ্ব হয়। সে সময় থানায় জিডি করেছিলাম। তারাই আমার ভাইকে হত্যা করেছে।

ইরান আরো বলেন, যেখানে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে আমাদের একটি ঘর আছে। আমি শুনেছি কোনো এক নারীকে নিয়ে আমার ভাই ওই ঘরে রাত্রি যাপন করতে গিয়েছিল। ডাকাতির যে কথা বলছে তা মিথ্যা। আমার ভাই ব্যবসা করতো আমরা যথেষ্ট সচ্ছল। আর যেই গ্রামে ডাকাতির কথা বলছে সেটি একটি গুচ্ছ গ্রাম সবাই অতি দরিদ্র কারো ঘরে দুই হাজার টাকা পাওয়া যাবে না। মূলত প্রভাব বিস্তার ও মাছ ব্যবসা নিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে প্রভাবশালীদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল তার জেরে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

রাত ১২টার দিকে আমরা খবর পাই আমার ভাইকে মারা হচ্ছে অনেক চেষ্টা করেও নদীর ওপার যেতে পারিনি ঘাটে কোন নৌকা রাখেনি তারা। এমনকি ভোরে গিয়ে আমার ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তারা বাধা দেয়।

এলাকার বাসিন্দা মনি শিকদার বলেন, রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে কুয়াশার কারণে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। তবে ভোরের দিকে মিরান খার আত্মীয়-স্বজন এসে আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে গেছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ড মাস্টার ফায়েকুজ্জামান জানান, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে মিরান খাঁকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, এলাকাবাসীর পিটুনিতে এক ব্যক্তি আহত হয়। তাকে মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের পরে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৫:৫৫   ১৬ বার পঠিত