ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার মধ্যে নিহিত ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সফলতা।ডিজিটাল সেবার প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মনে ভূমি সেবা সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব ফিরে আনা সম্ভব। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ কাজ, তবে সম্ভব। এর জন্য সেবা প্রদানকারীদের দক্ষতাবৃদ্ধি এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার জনবান্ধব সেবা নিশ্চিতে অত্যন্ত আন্তরিক।
আজ রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলনকক্ষে অটোমেটেড ভূমিসেবা সিস্টেম সফটওয়্যার সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন,অনলাইনে ঘরে বসে মৌজা ম্যাপ,জমির পরচা, খতিয়ান পাবেন তেমনিভাবে জমির খাজনাও দিতে পারবে। এই পদ্ধতিতে কোনো ভোগান্তি, অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি থাকবে না। ডিজিটাল ভূমিসেবার ফলে ভূমি সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা কমে যাবে, ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও হ্রাস পাবে।
সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০১৭ সালে সারা দেশে অনলাইনে নামজারি সেবা চালু হলেও বর্তমানের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে একটি উন্নততর সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৭ বছর ৯ মাসে মোট ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৮০ টি নামজারির আবেদন জমা পড়েছে। নিষ্পত্তির হার ৯৭.৩ %। নাগরিক আবেদনের অনেক তথ্য সিস্টেম হতে অটোমেটিক ভাবে যাচাই হয়ে যাবে। অটোমেটেড ভূমি সেবার সফটওয়্যারসমূহ কে জনবান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী করার জন্য কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হয়েছে।
সভায় সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান(সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী,ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহাম্মদ ইব্রাহিম,ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মো: মাহবুব হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৯:৫১ ৫ বার পঠিত