নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও চাঁদপুর জোনের লবণ মিল মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে অর্ধবার্ষিক পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর চেয়ারম্যান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম প্রধান।
সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক ঢাকার আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, বিসিক লবণ সেলের প্রধান প্রকৌশলী সরয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আকিব আবরার (ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ), নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি, এনডিসি মোহাম্মদ তামশিদ ইরাম খান, বিসিক নারায়ণগঞ্জের প্রধান জসিম উদ্দিনসহ বিসিকের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং তিন জেলার লবণ মিল মালিক ও তাদের প্রতিনিধি।
প্রতি ছয় মাস পরপর দাতা সংস্থা নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় বিসিক নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে এই পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন বিসিক নারায়ণগঞ্জের প্রধান জসিম উদ্দিন। সভার শুরুতে আয়োডিনের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয় এবং মিলগুলো থেকে সংগৃহীত লবণের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিসিক লবণ সেলের প্রধান প্রকৌশলী সরয়ার হোসেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় লবণ মিল মালিকরা নকল প্যাকেট ও গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রকৌশলী সরয়ার হোসেন বিসিক লবণ সেলের কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকৌশলী আকিব আবরার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সংস্থাটির দীর্ঘদিনের ভূমিকা তুলে ধরেন। বিসিক ঢাকার আঞ্চলিক পরিচালক ড. আলমগীর হোসেন আইন মেনে খাবার লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত করার পরামর্শ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বিসিকের সঙ্গে কাজ করার জন্য নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, বর্তমানে প্রায় ৯০ শতাংশ খাবার লবণে সঠিক মাত্রায় আয়োডিন ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরি মানদণ্ড অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের সতর্ক করেন এবং খাবার লবণের নামে সোডিয়াম সালফেটের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর, তাই লবণের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি রপ্তানিযোগ্য খাবার লবণ উৎপাদনের পরামর্শ দেন এবং ভেজাল পণ্য উৎপাদন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪০:২৬ ২৪ বার পঠিত