বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি থেকে একটি অংশের ৫০ জন পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এ সময় তিন দফা দাবিও জানান তারা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ পদত্যাগ ও দাবি তুলে ধরেন তারা।
এ সময় বক্তারা জানান, এতে ২৪শের স্পিরিটকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগদের দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মুখ সারিতে যারা ছিলেন, তারা বঞ্চিত। এর দায়ভার সম্পূর্ণ কেন্দ্রকে নিতে হবে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল থেকে কোনো পরামর্শও নেয়া হয়নি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে দাবি করে তিনটি কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তারা। পরে বিকেল ৩টার মধ্যে কমিটি বাতিল, অভিযুক্ত বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ও নতুন কমিটি যারা করেছে তাদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরা হবে। এ সময় এই কমিটির দায়ভার হাসনাত আবদুল্লাহকে নিতে হবে বলেও দাবি করা হয়। এরপর তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেটি নগরীর নানা সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদে থাকা জোবায়রুল আলম মানিক জানান, বিতর্কিত একটি কমিটি। দক্ষিণে যাকে আহবায়ক করা হয়েছে তাকে কখনো মিছিল মিটিংয়ে দেখা যায়নি। হুট করে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি আমরা মানি না।
সমন্বয়ক চৌধুরী সিয়াম জানান, এই কমিটি বাতিল না করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে এর দায় ভার নিতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ৫০ জনের মতো পদত্যাগ করেছি কমিটি থেকে, এবং তিন দফা বেঁধে দিয়েছি। এরপর অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যাবো আমরা।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৮:২৪ ১৫ বার পঠিত