বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের মানুষ ‘স্ট্যাবলিশমেন্ট’ মেনে নেয় না : ড. মঈন খান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বাংলাদেশের মানুষ ‘স্ট্যাবলিশমেন্ট’ মেনে নেয় না : ড. মঈন খান
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫



বাংলাদেশের মানুষ ‘স্ট্যাবলিশমেন্ট’ মেনে নেয় না : ড. মঈন খান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনও ‘স্ট্যাবলিশমেন্ট’কে মেনে নেয় না।

‘বাংলাদেশের মানুষ সচেতন, তারা আমাদের সবকিছু পর্যালোচনা করছে’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা একদিন ভালোবেসে গলায় ফুলের মালা দেয়, কিন্তু তাদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কমতি দেখা দিলে পরের দিনই তারা জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। তারা কখনো ‘স্টাবলিস্টমেন্ট’কে মেনে নেয় না।

ড. মঈন খান আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে (আইইবি) ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালোবেসে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে।পাশাপাশি তারা সরকারের কাছে আরও একটি দাবি করছে সেটা হলো, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দায়িত্ব সরকার সঠিক ভাবে পালন করছে কিনা, এটা দেশের মানুষের নজরে রয়েছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না।’

ড. মঈন খান বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম আমাদের সামনে রয়েছে, তারা থাকবে। আমরাও একদিন নতুন প্রজন্ম ছিলাম, নতুন প্রজন্ম শুধু বয়স দিয়ে নির্ধারণ হয় না, নির্ধারণ হয় নতুন চিন্তা এবং ধ্যান ধারণায়। ছাত্র জনতা আত্মত্যাগ করেছে, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ করে যাচ্ছিল। মিথ্যা গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছিল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রাতে ঘরে ঘুমাতে পারেনি। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সংগ্রামে সর্বশেষ ৫ আগস্ট বিপ্লব হয়েছে।’

তিনি বলেন,‘এই যে মানুষের প্রতিবাদের ইতিহাস, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মানুষের প্রতি, ভোটের প্রতি, সুশাসনের প্রতি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতি যে আকর্ষণ তা যুগ যুগ ধরে আমরা দেখেছি। ভাষা আন্দোলনের প্রতিবাদের যে ধারাবাহিকতা ২০২৫ সালে এসে নতুন প্রজন্মের ভোট দেয়ার যে প্রত্যাশা ,তার প্রতিফলন দেশের মানুষ অবিলম্বে দেখতে চায়।’

দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান বলেন, ‘আসুন আমরা গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে নিয়ে যাই। আমাদের আগামীর ইতিহাসে একুশের আদর্শকে উজ্জ্বল করে রাখি।’

বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান ও শামসুজ্জামান দুদু, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক এস এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ এস এম আমানউল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন,‘আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ছাড়া কারও কোনো অধিকার নেই এদেশ পরিচালনা করার। এদেশ পরিচালনা করতে হলে মানুষের ম্যান্ডেট নিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে ম্যান্ডেট দেবে সেটা সংসদে পাস করতে হবে, যার জন্য বিএনপি ওয়াদাবদ্ধ।’

তিনি বলেন, যারা যুদ্ধ করে পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সংখ্যা এখনো মেলানো যায়নি। তবে এই মঞ্চ থেকে কথা দিচ্ছি, যদি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপিকে দেশের জনগণ রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব তুলে দেয়, তবে শহিদদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হবে। মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রকৃত মর্যাদা দেয়া হবে।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে যে অন্তর্বর্তী সকার ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। যদি সেটাই হবে তাহলে কেনো আন্দোলন হলো? গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই তো মানুষ জীবন দিয়েছে। ভোটের অধিকারের জন্যই মানুষ রাজপথে নেমেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলিনি বিএনপিকে ক্ষমতা দিয়ে দেন। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। জনগণ যাদের বেছে নেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। একটি নির্বাচিত পার্লামেন্ট এসে রাষ্ট্রের সংস্কার করবে। এখানে কারো কোনো দ্বিমত থাকার কথা না।’

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২২:১৫   ১৯ বার পঠিত