ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল শুক্রবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
কনসাল জেনারেল মুহাম্মাদ মীযানুর রহমানের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ভাষা শহীদদের স্মরণে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত এবং এক মিনিট নিরবতা পালনের পর ভাষা শহীদ, ১৯৭১-এর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সাধারণ আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ভাষা শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন ও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
কনসাল জেনারেল মুহাম্মাদ মীযানুর রহমানতার বক্তব্যের শুরুতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী সকল ভাষা শহীদ এবং ভাষা সৈনিক, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে আরো বলেন, মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন এবং ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন-উৎসর্গ পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক দিবসে পরিণত হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ফলে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হয়েছে, যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে আরো সম্মানিত, গৌরবান্বিত ও মর্যাদাবান করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১১:১৩ ১৫ বার পঠিত