চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য রক্তের নজরানা পেশের পর ৭৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও আজও উচ্চ আলাদতের রায় এবং উচ্চ শিক্ষায় বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় নাই। বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারা বায়ান্নর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছু হতে পারে না।
আজ শুক্রবার ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ছাত্র গণজমায়েতে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫২ এর পরে বাংলাকে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখা যায় না। সংবিধানে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের মতো ভাষার প্রশ্নেও ৫২ এর রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। অতীত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুন। উচ্চ আদালত ও উচ্চ শিক্ষায় বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
পীর আরো বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রকাশ্যে ব্যানার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণ, জীবন উৎসর্গ ও আহতদের আন্দোলনের ঐতিহাসিক অবদান এ দেশের সচেতন জনগণ, ছাত্রসমাজ, সুশীল ও সাংবাদিক মহলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাদের রক্তক্ষয়ী সর্বাত্মক চেষ্টার ফলে এ দেশ থেকে জগদ্দল পাথর হটতে বাধ্য হয়েছে, এ দেশ ফ্যাসিস্ট শাসনমুক্ত হয়েছে।
ছাত্র গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, তুরস্কের সাদাত পার্টির ইউরোপীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামিত সামী তেমেল, ইসলামিক উম্মাহ ইউনিয়নের ফরেইন অ্যাফেয়ার্সের প্রধান ড. আদহে নুয়ানসা ইউবিসোনু, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মিশকাতুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব ইমরান হেসাইন নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:২৯ ১৬ বার পঠিত