দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারক ই আজম, বীর প্রতীক এর সাথে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ আজ তাঁর সচিবালয়ের দফতরে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তারা উভয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তবে এই সঙ্কটটির সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের ওপর। আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করুক।’
সভায় উপস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বিশেষ দূত সার্বিক বিষয়ে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘসময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে ঐ এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘অতিসত্ত্বর যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয়, তাহলে এটি কেবল এই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং তা ওই অঞ্চলের বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।’
বিশেষ দূতকে উপদেষ্টা ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করে বলেন, ‘এখানে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
এ সময় জাতিসংঘ যাতে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা প্রদান করে, সে বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন উপদেষ্টা। মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যায়, সেজন্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সকল অংশীজনদের সাথে বিশেষ দূত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন- মর্মে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এছাড়া ভাসানচর পরিদর্শন করতে বিশেষ দূত তার আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আব্দুল ওয়াদুদ, এবিএম শফিকুল হায়দার, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুরসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৪:০২ ৩৫ বার পঠিত