কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষকের মিনি কোল্ড স্টোরেজ ও খামারী অ্যাপ কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
অন্যদিকে সারা দেশে একশ’ মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আজ সাভারের রাজালাখ এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারে কৃষকের মিনি কোল্ড স্টোরেজ কার্যক্রম ও ‘খামারি’ অ্যাপসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, কোল্ড স্টোরেজ ও খামারী অ্যাপ কৃষকদের মাঝেও ছড়িয়ে দেয়া হবে। আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এ খামারী অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তালহা জুবাইর মাসরুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ইটের ভাটায় কৃষি জমির টপ সয়েল নিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। এটা ঠেকাতে কৃষি জমি রক্ষায় ‘কৃষি জমি সুরক্ষা আইন’ করতে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, একটা সময় জনসংখ্যার চেয়ে কৃষি জমির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। এখন কৃষি জমি কমেছে, জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। এরপরও কৃষকেরা ভালো উৎপাদনের মধ্য দিয়ে কৃষি খাতকে সন্তোষজনক পর্যায়ে রেখেছেন।
পরে উপদেষ্টা কৃষকের মিনি কোল্ড স্টোরেজ ও খামারী অ্যাপসের উদ্বোধন করেন ও সাভারস্থ মাশরুম চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টারে ইতোমধ্যে দুটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। একটি ঘরকে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে, অপরটি হলো কনটেইনারভিত্তিক এবং সোলার চালিত।
বর্তমানে কৃষকরা টমেটো, শসা, লাউ, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, বেগুন, গাজর, ফুলকপিসহ নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলাদি সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন। এর ফলে ফসলের গুণগতমান বজায় থাকবে এবং বাজারে সঠিক মূল্য অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
এখানে আরও উল্লেখ্য যে কন্টেইনারে নির্মিত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে ব্যয় হবে ১৫ লাখ টাকা ও পাকা ভবনে ব্যয় হবে ৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৭:৩৭ ১৫ বার পঠিত