ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে বাগে পেয়েও ব্যর্থ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচের ৩০ সেকেন্ডেই স্বাগতিকরা কনর গ্যালাঘারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ১২০ মিনিটে গড়ানো খেলায় আর কোনো পক্ষই গোল করতে পারেনি। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে অ্যাতলেটিকোর পক্ষে দ্বিতীয় শটটি নেন জুলিয়ান আলভারেজ। তার নেয়া শট জালে জড়ালেও বাতিল করে দেন রেফারি। শেষ পর্যন্ত যার মাশুল অ্যাতলেটিকোকে চুকাতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ে।
বুধবার (১২ মার্চ) ওয়ান্দা মেট্রোপলিতানোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। নির্ধারিত সময়ের খেলায় ১-০ গোলে জয় পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু রিয়ালের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। ফলে অ্যাগ্রিগেটে ২-২ গোলের সমতা হলে অতিরিক্ত সময়ের পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে রিয়ালের পক্ষে লুকাস ভাসকেস বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পক্ষে হুলিয়ান আলভারেজ এবং মার্কাস ইয়োরেন্তে ব্যর্থ হন। এদের মধ্যে আলভারেজের নেয়া স্পটকিকটি বাতিল হওয়া নিয়ে বিতর্ক ডালপালা মেলেছে।
দলের পক্ষে দ্বিতীয় শটটি নিতে এসেছিলেন আলভারেজ। ১২ গজ দূর থেকে আর্জেন্টাইন তারকা শট নেয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গেলেও রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া বল থামানোর সুযোগই পাননি। বল জালে জড়িয়ে যায়। শট নেয়ার প্রায় মিনিটখানেক ধরে ভিএআর দেখে শেষ পর্যন্ত শটটি বাতিল করে দেন রেফারি সিমন মারচিনিয়াক।
মূলত শট নেয়ার সময় আলভারেজের দুই পায়েই বল স্পর্শ করায় তা বাতিল ঘোষণা করেছেন রেফারি এবং সেটি ফুটবলের আইন মেনেই।
আইএফএবি’র ২০২৪-২৫ এর নীতিমালায় পেনাল্টি শ্যুটআউটের নিয়ম উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে: ‘(পেনাল্টি) কিক সফল হিসেবে বিবেচিত হবে, যখন বল থেমে যায়, খেলার বাইরে চলে যায় বা কোনো ফাউলের জন্য রেফারি খেলা বন্ধ করেন; কিক নেয়ার পর খেলোয়াড় দ্বিতীয়বার বলটি স্পর্শ করতে পারবেন না।’
বল জালে জড়ানোর আগে বল দুইবার আলভারেজের পায়ে স্পর্শ করাতেই রেফারি স্পটকিকটি বাতিল করেন। যার মাশুল দিতে হয়েছে ম্যাচ হরে। কিন্তু রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ থেকে শুরু করে সমর্থকরা পর্যন্ত। দলটির কোচ দিয়েগো সিমিওনে তো ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে, আলভারেজের পায়ে দুবার বল স্পর্শ হতে দেখলে তারা যেন হাত তোলেন।
রেফারি ভিএআরে পর্যালোচনার সময় বলের চারদিকে চক দিয়ে চিহ্নিত করে নিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন শট নেয়ার আগে আলভারেজের সাপোর্টিং পা বলে স্পর্শ করেছেন। কিন্তু সিমিওনের দাবি, টিভিতে অনেক অ্যাঙ্গেল থেকেই মনে হয়েছে বলে তার পা একবারই স্পর্শ করেছে।
সিমিওনে এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি পেনাল্টির ছবি দেখেছি। রেফারি বলেছেন, যখন হুলিয়ান শট নিতে পা বাড়ান এবং কিক করেন, সে তার পা দিয়ে বল স্পর্শ করেছে, কিন্তু বল মোটেও নড়েনি। এটা অবশ্যই আলোচনায় আসার মতো এটা গোল হয়েছে কি-না, তবে আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত।’
সে যখন তার পা বাড়ায় এবং কিক করে, বল বিন্দুমাত্র নড়েনি। কিন্তু ভিএআর এটাকে বাতিল করল, আমি কখনো কোনো পেনাল্টি ভিএআরে বাতিল হতে দেখিনি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি বৈধ এবং তারা দেখেছে তার পা বলে স্পর্শ করেছে। আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, তারা বলে পায়ের স্পর্শ দেখেছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৫:১৮ ১৮ বার পঠিত