রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

এসএসএফ এর সাবেক মহাপরিচালক মো.মজিবুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » এসএসএফ এর সাবেক মহাপরিচালক মো.মজিবুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫



এসএসএফ এর সাবেক মহাপরিচালক মো.মজিবুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও ঢাকা মহানগরে দুটি ফ্ল্যাট, একটি প্লটসহ ৬৯ দশমিক ৭৯ শতক জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও সম্পদ ক্রোক চেয়ে আবেদন করেন। এসব ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা রয়েছে। এর মধ্যে মুজিবুর রহমানের ২৪টি ও তার স্ত্রীর ১০টি হিসাব।

ক্রোক হওয়া সম্পদের মধ্যে মুজিবুর রহমানের নিজ নামে থাকা মিরপুরের মাটিকাটায় ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থাকা একটি প্লটসহ খিলক্ষেত, মিরপুর, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জমি ও স্ত্রীর নামে থাকা ক্যান্টনমেন্টের সাহারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, বাউনিয়া এলাকায় ৭টি দলিলে জমি রয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এদিন আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে মুজিবুর রহমানের সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করা হয়। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মুজিবুর রহমান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে দখলে রাখা এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন। একই সঙ্গে দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রয় বা হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ কারণে তার নিজ, তার স্ত্রী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামীয় বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৬:১২   ৫২ বার পঠিত