মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু স্থাপনা আছে যেগুলোকে শহীদের নামে নামকরণ করা যেতে পারে। আমাদের কয়লাঘাটের পরে যে ব্রিজটি হয়েছে, সেখানে যে নামকরণ করা হয়েছে ওই ব্যক্তি ওই ব্রিজ তৈরিতে কোন অবদান রাখেনি। জনতা সে নামটি মুছে ফেলেছে, সেই ব্রিজটি একজন শহীদের নামে নামকরণ করা যেতে পারে। নারায়ণগঞ্জের এই যে বঙ্গবন্ধু রোড, এই সড়কের নাম আর বঙ্গবন্ধু সড়ক রাখার কোন প্রয়োজন নেই। বঙ্গবন্ধু সড়ক কোন শহীদের নামে নামকরণ করা যেতে পারে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের ২১ শহীদ পরিবারকে ২লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন সাখঅওয়াত।
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদদের হত্যার জন্য এখন পর্যন্ত যে মামলা গুলো হয়েছে, সে মামলা গুলোর জন্য দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল হয়। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যেন দ্রুত মামলাগুলোর বিচার কার্য শুরু হয়।’
এসময় জেলা পরিষদের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) ড. মো. মনিরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক নিরব রয়হান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৯:১৬ ৮৩ বার পঠিত