বরগুনার বেতাগী সবুজে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়েই এখন সবুজের সমারোহ। বোরো ধানের শিষে দোল খাচ্ছে কৃষকের বুকভরা স্বপ্ন। ধান গাছের সবুজ পাতা আর কাঁচা শিষ দেখে আনন্দে ভরে উঠেছে কৃষকের মন।
কয়েকদিন পরেই ধানের সবুজ গাছ এবং কাঁচা শিষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শিষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের রঙিন স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া, বুনছে রঙিন স্বপ্নের জাল। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষক-কৃষাণীর শূন্য গোলা।
যথা সময়ে জমিতে সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, বিবিচিনি ইউনিয়ন, হোসনাবাদ ইউনিয়ন, মোকামিয়া ইউনিয়ন, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি খেতে শিষ উঁকি দিচ্ছে। কৃষকরা ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মাঠে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।
বেতাগী সদর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মোতালেব (৫৫) বলেন, বোরো ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শিষ বের হয়েছে। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা।
একাধিক বোরো চাষি বলেন, স্থানীয় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষ করা ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। এঅঞ্চলে বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে ধান কাটা শুরু হবে।
তখন পূরণ হবে কৃষকের স্বপ্ন।
কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, এবছর বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তরা কাজ করছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানজিলা আহমেদ বলেন, সঠিক সময়ে চারা লাগানো, যথাসময়ে সেচ দেয়া, নিবিড় পরিচর্যা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পোকামাকড় আক্রমণ না করে এমন ধান লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। চলতি বছরে ধানে তেমন রোগবালাই নেই বললেই চলে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:১৯ ১৮ বার পঠিত